নাটোরে এক অদ্ভুত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যখন নির্ধারিত সময়ের আগেই ট্রেন ছেড়ে যায় এবং অন্তত ৫০ জন যাত্রী তা ধরতে ব্যর্থ হন। এর ফলস্বরূপ, ক্ষুব্ধ হয়ে ওই যাত্রীরা স্টেশন মাস্টারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
৮ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টার সময় নাটোর স্টেশনে এই ঘটনাটি ঘটে। খবর পাওয়া মাত্র রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, যাত্রীরা এখনও স্টেশন মাস্টারের কক্ষে অবস্থান করছেন এবং তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
যাত্রীদের অভিযোগ—চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১১:৫৯ মিনিটে নাটোর স্টেশনে ঢুকলেও মাত্র এক মিনিটের মধ্যে চলে যায়, যার ফলে তারা ট্রেনে উঠতে পারেননি। ট্রেনটি তিন মিনিট থামার কথা থাকলেও, দেড় মিনিটের কম সময় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে অনেক যাত্রী আহত হয়েছেন এবং অনেকে ট্রেন থেকে নামতে পারেননি।
একজন যাত্রী শিমুল হোসেন জানান, “ট্রেনটি এক ঘণ্টা দেরিতে আসার পর যখন স্টেশনে ঢুকে, তখন খুব তাড়াতাড়ি চলে যায়। আমি সহ অনেকেই উঠতে ব্যর্থ হই। আমি নিজে কিছু যাত্রীকে ট্রেন থেকে নামতে দেখে আহত হতে দেখি।”
আরেক যাত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, “আমরা বিয়ের দাওয়াতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু ট্রেন চলে যাওয়ায় আমরা উঠতে পারিনি। স্টেশন মাস্টারের কাছে প্রশ্ন করলেও তিনি কোনো সদুত্তর দেননি।”
নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার শামীম হোসেন এই ঘটনায় বলেন, “ট্রেনটি দেড় মিনিট থেমে থেকে চলে গেছে, আর যাত্রীরা বিকল্প কোনো গাড়িতে ওঠার সুযোগ ছিল না। আমি কন্ট্রোল রুমকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং তারা বলেছে, যাত্রীরা অন্য বগিতে উঠে যেতে পারতেন।”
এ ঘটনায় যাত্রীদের ক্ষোভের সাথে, স্টেশন মাস্টারের দায়িত্বে অবহেলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।