দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে সম্প্রতি একটি অডিট দলের মাধ্যমে নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়, যার মধ্যে ৩৯ লাখ টাকার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে জানা যায়, এই অডিট দলটি দিনের পর দিন বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডে কাজ করার সময়ে ঘুষ গ্রহণ করেছে। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে অডিটের সময় সাড়ে ২১ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়, যা পরে শারমিন আক্তার নামের একজন নারীর ব্যাংক হিসাবে জমা হয়।
অডিট দলের সদস্যরা নিরীক্ষার নামে এসব অনিয়ম ঢাকতে নিয়মিতভাবে ঘুষ নিয়েছেন। একইভাবে ময়মনসিংহ এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই তহবিলগুলি বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে চলে যায়, যেখানে অস্বাভাবিকভাবে পাঁচ বছরের খাতা একসঙ্গে কেনার ঘটনা ঘটেছে, যার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই টাকা বিভিন্ন খরচের জন্য নেওয়া হয়েছে, তবে ঘুষ লেনদেনের ব্যাপারে তাদের কোনও সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তবে, এই অডিট দল ও শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তদন্তের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।