গতকাল বিকেলে সিলেটে সাংবাদিকদের সামনে হতাশার সংবাদ তুলে ধরেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। নিষিদ্ধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে আইসিসির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এই ব্যর্থতা সাকিবের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা নিয়ে বড় শঙ্কার সৃষ্টি করেছে।
ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলার সময় বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ায় সাকিব নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন। প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে এমন নিষেধাজ্ঞায় পড়া সাকিবের জন্য বড় ধাক্কা। ফলে সব ধরনের ক্রিকেটে তার বোলিং বন্ধ হয়ে যায়।
বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত বোলিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি সাকিব। ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানা যায়, সাকিবের বোলিং অ্যাকশন এখনো বৈধতা পায়নি। তবে পরবর্তী পরীক্ষার দিনক্ষণ সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য আগামী ১২ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিক স্কোয়াড জমা দিতে হবে। সাকিব যদি এর আগে সবুজ সংকেত না পান, তবে তাকে দলে রাখা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। যদিও ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্কোয়াড পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। খেলাগুলো পাকিস্তানের করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত হবে। তবে ভারতের আপত্তির কারণে তাদের সব খেলা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে আয়োজন করা হবে।
এদিকে, প্রধান নির্বাচক সাকিবের পরীক্ষা নিয়ে হতাশ হলেও তাকে ঘিরে আশার আলো এখনও দেখছেন। বিসিবি এখনো তার জন্য কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।
সময়ই বলে দেবে, সাকিব আল হাসান তার বোলিং অ্যাকশন সমস্যার সমাধান করে আবার মাঠে ফিরতে পারবেন কিনা।