গত ছয় মাসে বাংলাদেশের শতাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, যা দেশের শিল্পখাতে একটি বড় ধাক্কা দিয়েছে। এই প্রবণতা বেসরকারি খাতের বিনিয়োগে বড় ধরনের পতন নিয়ে এসেছে, যা ৪২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধিতে পৌঁছেছে। ঊর্ধ্বমুখী সুদহার, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মুদ্রাস্ফীতি নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন করতে উদ্যোক্তাদের নিরুৎসাহিত করেছে, যার ফলে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে।
২০২৪ সালের প্রথমার্ধে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি ২১.৯০% কমেছে, যা সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণেও ৮.৮০% পতন দেখিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বেকারত্বের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে, ২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে বেকারত্বের সংখ্যা ২৬ লাখ ৪০ হাজারে পৌঁছেছে।
বেসরকারি ব্যাংকগুলো ঋণ অনুমোদন কমিয়ে দিয়েছে এবং উচ্চ সুদের হার (১৪% থেকে ১৫%) নতুন ঋণের চাহিদা কমিয়ে ফেলেছে। এর ফলে আমদানি এবং বিনিয়োগের গতি আরও শ্লথ হয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ পুনরুদ্ধার করতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন, অন্যথায় দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রশ্নবিদ্ধ হবে।