মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পর থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিণতি নিয়ে উৎসুক বিশ্ববাসী। ইতিমধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, কিথ কেলোগ কে ইউক্রেন ও রাশিয়ার জন্য বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেবেন। যিনি এই দুই দেশের যুদ্ধ নিরসনে কাজ করবেন।
কেলোগ ছিলেন ট্রাম্পের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে তিনি একটি শান্তির পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন, যা বাস্তবায়ন বড় কূটনৈতিক সাফল্য হতে পারে। কেলোগের মতে, বাইডেন প্রশাসনের দুর্বল নীতির কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি।
তিনি আরোও দাবি করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ নেওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সরকার ছিল। তাই ট্রাম্পের রাজনৈতিক কৌশলনীতির মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করা সহজ হবে। কেলোগের পরিকল্পনায় ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শান্তি আলোচনা শুরু করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিবে শুধুমাত্র যখন তারা শান্তির জন্য আলোচনা করবে।
শুধু তাই নয়, এ পরিকল্পনায় ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ স্থগিত রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সীমান্তরেখা স্থায়ীভাবে সমাধান করার কথা বলা হয়েছে। তার মতে, এই শান্তি চুক্তির জন্য রাশিয়া কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাবে, তবে সম্পূর্ণ মুক্তি তখনই হবে, যখন চুক্তি ইউক্রেনের পক্ষে হবে।
এছাড়া ইউক্রেনকে তার দখলকৃত ভূখণ্ড ফিরে পাওয়ার জন্য কেবল কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে এগোতে হবে। তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা কঠিন হতে পারে, কারণ রাশিয়া আগেও শান্তির আলোচনা ভেঙে সামরিক আক্রমণ চালিয়েছে।
কেলোগের পরিকল্পনা শান্তির জন্য একটি সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে, তবে এটি বাস্তবায়িত হলে পশ্চিমা ঐক্য ভাঙার সম্ভাবনা রয়েছে, যা রাশিয়ার জন্য একটি বড় সুযোগ হতে পারে।