িলাসবহুল গাড়ির দুনিয়ায় বিস্ময়ের শেষ নেই। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন গাড়ী আবিস্কার চলতেই থাকে। একেকটি গাড়ী যেনো নতুন একটি গল্প, যেখানে নকশা, প্রযুক্তি ও বিলাসিতার সম্মিলনে তৈরি হয় নতুন নতুন বিস্ময়।
২০২৪ সালে ফোর্বস ইন্ডিয়া-এর প্রকাশিত তালিকায় উঠে এসেছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি দশটি গাড়ির নাম। এগুলো কেবল যানবাহন নয়, বরং শৈল্পিকতার এক অনন্য উদাহরণ। সেই তালিকায় প্রথম পাঁচটির সাথে আজকে পরিচয় করাবো আপনাদের।
তালিকায় সবার উপরে রয়েছে রোলস রয়েস লা রোজ নোরে ড্রপটেইল।বিলাসিতার শিখরে অবস্থান করা এই গাাড়ী চালাতে হতে হবে শীর্ষ ধনী। ট্যাক্স ছাড়া শুধু গাড়ীর দাম পড়বে ৩০ মিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশি টাকায় ৩৬০ কোটি টাকা। দুই আসনের গাড়িটি এক অপূর্ব শিল্পকর্ম। গাড়িটির রঙ এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে এটি আলাদা রঙের দেখা দেয়। ব্ল্যাক বাকারা গোলাপ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গাড়ির আসনের গাঢ় লাল রঙের নকশা করা হয়েছে। গাড়ি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় ২ বছর ৯ মাস।
খরচের দিক থেকে দ্বিতীয় দামি গাাড়ীর নাম রোলস রয়েস বোট টেইল। যার মূল্য ২৭.৬ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৩১ কোটি টাকা। এটি এমন একটি গাড়ি, যা ক্লাসিক সৌন্দর্য আর আধুনিক প্রযুক্তির এক অসাধারণ সংমিশ্রণ। গাড়ির ভেতরে রয়েছে বিল্ট-ইন শ্যাম্পেইন ফ্রিজ ও সান আমব্রেলা।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা বুগাত্তি লা ভইতুর নোরে। ফরাসি ভাষায় যার অর্থ “কালো গাড়ি”, সেই বুগাত্তি লা ভইতুর নোরে বিলাসিতা ও শক্তির এক মিশ্রণ। এর দাম ২২.১ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ প্রায় ২২১ কোটি টাকা। গাড়িটি নিখুঁত গতি ও নান্দনিকতার উদাহরণ। এই “মাস্টারপিস” যেন প্রযুক্তি আর শৈল্পিকতার নিখুঁত মেলবন্ধন।
এরপরেই নাম আসে পাগানি জোন্দা এইচপি বারকেত্তা ব্রান্ডে। ইতালিয়ান হাইপার কার ব্র্যান্ড পাগানি এই দুর্লভ মডেল তৈরি করেছে। দাম প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এই মডেলের মাত্র তিনটি গাড়ি তৈরি করা হয়েছে, যার একটি প্রতিষ্ঠাতা হোরাসিও পাগানির জন্য সংরক্ষিত। এর নকশা এবং বিলাসিতায় রয়েছে নিখুঁত যত্নের ছাপ।
পাঁচ নম্বরে রয়েছে এসপি অটোমোটিভ কেওস গাড়িটি। গ্রিসের স্পাইরোস পানোপুলস কোম্পানির তৈরি এই গাড়ি প্রযুক্তির এক বিস্ময়। দাম ১৭০ কোটি টাকা। এতে রয়েছে কোয়াড টার্বো ভি-১০ ইঞ্জিন, যা ৭.৫ সেকেন্ডের কম সময়ে কোয়ার্টার মাইল পাড়ি দিতে পারে। স্পোর্টস কারের রাজা হিসেবেও গাড়ীটিকে চেনেন অনেকে।
গাড়ি শুধু গতির প্রতীক নয়, বরং বিলাসবহুল জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। যাদের অঢেল সম্পদ রয়েছে তারা প্রতিনিয়ত এসব গাড়ী কিনতে তৈরি থাকে। গাড়ীগুলো নির্মাণে সময়, যত্ন ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ছোঁয়ার মিশ্রণ ঘটাতেই তাই ব্যস্থ থাকতে হয় নির্মাতাদের। বিলাসীতায় নতুন করে কোন গাড়ী এসে হয়ত ভেঙে দেবে বর্তমানগুলো রেকর্ডও।