গাজার যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল গাজার বাসিন্দাদের পূর্ব আফ্রিকার কয়েকটি দেশে স্থানান্তরের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা এপি সূত্রে জানা গেছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন ও ইসরাইলি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।
গত মাসে ওয়াশিংটনে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে, গাজার নিয়ন্ত্রণ নেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। প্রথমে জর্ডান ও মিসরের দিকে ইঙ্গিত দিলেও, আরব দেশগুলোর বিরোধিতার পর সেই পরিকল্পনা পরিবর্তন করা হয়।
এবার, গাজার বাসিন্দাদের সুদান, সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে সুদান ইতোমধ্যে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, আর সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা জানান, তারা এই বিষয়ে কিছু জানেন না।
এদিকে, হোয়াইট হাউসে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিনের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেছেন, গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। তবে, গাজা পুনর্গঠন নিয়ে কাতারের দোহায় হামাসের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, হামাস পাঁচজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এক সমঝোতায় পৌঁছেছে। এর মধ্যে একজন জীবিত, এবং বাকি চারজনের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।