২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলেছিল, যেখানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। সেই টুর্নামেন্টে চাপের মুখে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিও করেছিলেন তিনি।
বয়স বাড়লেও মাহমুদউল্লাহ এখনও দলের অন্যতম ভরসা। সাম্প্রতিক বিপিএলেও তার ব্যাট ছিল দারুণ ছন্দে। অভিজ্ঞতা ও ফর্ম বিবেচনায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মূল একাদশে তার থাকা স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে একাদশে তার নাম দেখা যায়নি, যা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুজন শীর্ষ কর্মকর্তা, যারা বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন, জানিয়েছেন যে মাহমুদউল্লাহর ডান পায়ের কাফ মাসলে চোট রয়েছে, এজন্যই তাকে খেলানো হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে ভিন্নমতও আছে।
দলীয় কৌশলের কারণে মাহমুদউল্লাহকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। যদি তিনি খেলতেন, তবে জাকের আলী বা তাওহিদ হৃদয়ের মধ্যে একজনকে বাদ দিতে হতো। দল সম্ভবত দুই তরুণ ব্যাটারকেই সুযোগ দিতে চেয়েছে, তাই মাহমুদউল্লাহকে বাইরে রাখা হয়েছে।
টিম ম্যানেজমেন্ট যদি সত্যিই কৌশলগত কারণে ফিট মাহমুদউল্লাহকে বসিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তাহলে সেটি কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তার অভিজ্ঞতা যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের জন্য সহায়ক হতে পারত। তবে ইনজুরির কারণে বাদ পড়লে সেটি ভিন্ন বিষয়।
মাহমুদউল্লাহ কি পরবর্তী ম্যাচে সুযোগ পাবেন? নাকি দলীয় কৌশলের কারণেই তাকে বাইরে রাখা হবে? সেটি জানতে ক্রিকেটপ্রেমীদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।