রাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কোপানোর ঘটনায় মেহেদী হাসান সাইফ (২৪) নামের এক যুবলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি স্থানীয় একটি কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান বলেও জানা গেছে। তার সঙ্গে আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন মোবারক হোসেন (২৫), রবি রায় (২২), আলফাজ মিয়া ওরফে শিশির (২২) ও সজীব (২০)। অভিযুক্তদের কাছ থেকে হামলায় ব্যবহৃত দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের তথ্যানুযায়ী, সোমবার রাতে উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরে মেহেবুল হাসান (৩৭) ও নাসরিন আক্তার ইপ্তি (২৮) নামে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করা হয়। ঘটনায় জড়িত সাইফের সঙ্গে শিশির ও সজীবও অস্ত্র হাতে উপস্থিত ছিল।
উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান জানান, পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই অভিযুক্ত মোবারক হোসেন ও রবি রায়কে গ্রেফতার করে। পরে নাসরিন আক্তার ইপ্তি বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। তদন্তের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার আলফাজ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে সজীব এবং টঙ্গীর মাজার বস্তি থেকে মূল অভিযুক্ত সাইফকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের দেওয়া তথ্যে তুরাগ নদীর পাড় থেকে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, সাইফ দীর্ঘদিন ধরে উত্তরায় যুবলীগের কিছু নেতার অনুসারী হিসেবে কাজ করছিল এবং কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করত।
এদিকে, হামলার শিকার নারী ও পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। শম্পা বেগম নামে এক নারী দাবি করেছেন, আহত ব্যক্তি তার স্বামী এবং তার সঙ্গে থাকা নারী আসলে তার স্ত্রী নন। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
এই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা চলমান রয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত আছে।