গাজীপুরের ধীরাশ্রমে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। শুক্রবার রাতে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন, যাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটি দাবি করেছে, আওয়ামী লীগের দোসর ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের অনুসারীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় ডিসি অফিস চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। তারা সবাইকে এতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, “গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর হামলার নিন্দা জানিয়ে এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে।”
এদিকে, হামলার পরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “গাজীপুরে আজই হবে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের শেষদিন, আমরা আসছি…”।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, ছাত্র-জনতার পরিচয় দিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি শুক্রবার রাতে সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালায়। এরপর স্থানীয়রা তাদের ধরে মারধর করেন, এতে প্রায় ১২-১৩ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে গুরুতর পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। তারা হলেন— শুভ শাহরিয়া (১৬), ইয়াকুব (২৪), সৌরভ (২২), কাশেম (১৭) ও হাসান (২২)।
আহত সৌরভের বন্ধু পিয়াস জানান, “রাত সাড়ে আটটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে যায়। এরপর আওয়ামী লীগের লোকজন মাইকিং করে তাদের ওপর হামলা চালায়, এতে আমার বন্ধুসহ অনেকেই আহত হয়। গুরুতর আহত পাঁচজনকে ঢাকায় আনা হয়েছে।”