ম্যানচেস্টার সিটির জন্য এটি ছিল একেবারে বাঁচা-মরার ম্যাচ। জয় ছাড়া অন্য কোনো ফলাফল মানেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়। অথচ ম্যাচের প্রথমার্ধেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে তারা, যা বাড়িয়ে দেয় উত্তেজনা। ঘরের মাঠ ইতিহাদে খেলার সুবিধা থাকলেও, প্রতিপক্ষ ক্লাব ব্রুগের কৌশলী রক্ষণভাগ প্রথমার্ধে সিটিজেনদের আটকে রাখে। প্রথম ৪৫ মিনিটে ইলকাই গুন্দোয়ানের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হলে সিটি আরও চাপের মুখে পড়ে। এরই মধ্যে ৪৫ মিনিটে ব্রুগের হয়ে রাফায়েল ওনেইদিকা গোল করে এগিয়ে দেন বেলজিয়ান ক্লাবটিকে, যা ম্যানসিটির জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তোলে।
বিরতির পর যেন বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। কোচ পেপ গার্দিওলার কৌশলগত পরিবর্তন এবং খেলোয়াড়দের আক্রমণাত্মক মনোভাব ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মাতেও কোভাচিচের গোল সিটিকে সমতায় ফেরায়। এরপর ম্যাচের ৬২তম মিনিটে ব্রুগের আত্মঘাতী গোল সিটিকে এগিয়ে দেয়, যা প্রতিপক্ষের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। ৭৭তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামা সাভিনহো নিশ্চিত করেন দলের জয়, যখন তিনি দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন।
এই জয়ের মাধ্যমে ম্যানচেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত করে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হতে পারে ইউরোপের আরেক পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদ বা বায়ার্ন মিউনিখ। যদিও ক্লাব ব্রুগ পরাজিত হলেও, ২৪তম স্থানে থেকে তারাও প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ম্যানচেস্টার সিটিই বিজয়ী হয়ে তাদের যাত্রা টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়।