ট্রান্সকম গ্রুপের সিইও সিমিন রহমান ও তার ছেলে ফারাজকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে ৭৩ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। সিআইডি প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে, ‘ফারাজ’ নামে বিতর্কিত সিনেমাটি নির্মাণের আড়ালে এই অর্থ পাচার করা হয়।
২০২০ ও ২০২১ সালে ট্রান্সকম গ্রুপ ভারতের একটি ভৌতিক প্রতিষ্ঠান ‘মাহানা কোম্পানি’র মাধ্যমে এই সিনেমার জন্য অর্থায়ন করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি বৈধ অনুমতি ছাড়াই এই অর্থ ভারতে পাঠায়।
হোলি আর্টিজান এবং বিতর্কিত কাহিনি
সিনেমাটি গুলশানের হোলি আর্টিজান হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত। তবে এতে ঘটনার সত্যতা বিকৃত করে জঙ্গি অভিযুক্ত ফারাজকে নায়ক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ভারতীয় পরিচালক হানসাল মেহতা এক সাক্ষাৎকারে জানান, সিনেমার পরিকল্পনা, পাণ্ডুলিপি এবং অর্থায়ন সরাসরি সিমিন রহমানের পক্ষ থেকে এসেছে। মেহতার মতে, সিনেমাটি ছিল “একটি ফরমায়েশি প্রজেক্ট।”
বাংলাদেশি আইন লঙ্ঘন ও সিআইডির পদক্ষেপ
তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া সিনেমার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সিআইডি জানিয়েছে, সিনেমার শুটিং এবং অর্থ লেনদেনের বিষয়ে একাধিক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সিনেমাটি ছাড়াও ভারতীয় প্ল্যাটফর্ম চরকির সঙ্গে অর্থ পাচারের যোগসূত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিআইডি এই পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবে বলে জানিয়েছে।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।