সাভারের বোট ক্লাবের পরিচালক নাসির উদ্দিন মাহমুদকে মারধর, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে আদালতে হাজির না হওয়ায় তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
রবিবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জুনায়েদ এই আদেশ দেন। মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভি জানান, পরীমনি অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি এবং এজন্য সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। তবে আদালত সময় আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করেন। মামলার অপর আসামি জুনায়েদ বোগদাদী জিমি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০২২ সালের ৬ জুলাই সাভার থানায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ এই মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে গত বছরের ১৮ মার্চ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরীমনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। তবে মামলার অপর আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
২০২৩ সালের ২৬ জুন পরীমনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। তবে বিচার কার্যক্রমে ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিত থাকার কারণে তার জামিন বাতিল করা হয়। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মামলাটি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করেছে।
নাসির উদ্দিন মাহমুদ দাবি করেছেন, তাকে ভয়ভীতি দেখানোর পাশাপাশি মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় তার জীবনে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানিতে কী সিদ্ধান্ত আসে, তা নিয়ে এখন সবার নজর আদালতের দিকে।