ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস আজ গাজা থেকে আরও চারজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে পারে। এই চারজন হলেন কারিনা আরিয়েভ, দানিয়েলা গিলবোয়া, নামা লেভি ও লিরি আলবাগ। তাঁরা সবাই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি নজরদারি ইউনিটে কর্মরত ছিলেন।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ইসরায়েল কারাগারে বন্দী থাকা ১৮০ ফিলিস্তিনিকে পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেবে। এর বিনিময়ে হামাস ২৬ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে ধাপে ধাপে ছেড়ে দিচ্ছে। ইতোমধ্যে একটি দফায় বন্দি ও জিম্মি বিনিময় সম্পন্ন হয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জনের মৃত্যু হয় এবং ২৫১ জনকে গাজায় জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজায় বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালায়। প্রায় এক বছরের এই সংঘাতে গাজায় ৪৭ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়, যাঁদের বেশির ভাগই সাধারণ মানুষ।
যদিও আজ মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় ইসরায়েলি বেসামরিক নারী আরবেল ইয়েহুদার নাম থাকার সম্ভাবনা ছিল, তবে তাঁর নাম তালিকায় নেই। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হামাস নয় বরং আরেকটি সশস্ত্র সংগঠন প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদের হাতে জিম্মি।
আগামী পাঁচ সপ্তাহে হামাস পর্যায়ক্রমে আরও ২৬ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এমন কোনো ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে না, যাঁরা ৭ অক্টোবরের হামলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
এই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে দুই পক্ষই যে অস্থায়ীভাবে হলেও শান্তির পথে এগোতে চায়, তা স্পষ্ট। তবে এই চুক্তি কত দিন কার্যকর থাকবে, সেটি নিয়ে এখনো প্রশ্ন থেকে যায়।