জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, একদলীয় সংবিধান দিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, মুজিবীয় সংবিধান পরিবর্তন করে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী একটি বহুদলীয় সংবিধান রচনা করতে হবে। রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত ‘মার্চ ফর ইউনিটি অ্যান্ড জাস্টিস’ শীর্ষক ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন সংবিধান তৈরি সময়ের দাবি। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিদেশে পাচারের মতো ঘটনা প্রতিহত করতে বর্তমান সংবিধান সংস্কার করতে হবে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও বলেন, “আমাদের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান রচনার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। এমন একটি সংবিধান চাই, যেখানে ফ্যাসিবাদ ও পরিবারতন্ত্রের স্থান থাকবে না।”
বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান ছিল জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই। এই আন্দোলনের অগ্রভাগে থাকা ছাত্ররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করেছে। তাদের এই ত্যাগ এবং সাহসিকতা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, “আমরা একটি ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ চাই। এর জন্য প্রয়োজন আইনি ও প্রশাসনিক সংস্কার। গণপরিষদ নির্বাচনই হবে এই পরিবর্তনের প্রথম ধাপ।”
ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, নতুন সংবিধান এমনভাবে রচনা করতে হবে, যেখানে নারী, শিশু, সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার সুনিশ্চিত থাকবে। একই সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা সতর্ক করে বলেন, “যদি বিচার ও সংস্কারের পথে কেউ বাধা দেয়, তবে তাকে রাজপথে প্রতিরোধ করা হবে।” গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলে তারা মন্তব্য করেন।
সমাবেশে উপস্থিত সকলেই নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিজেদের দায়িত্ব পালনের আশ্বাস দেন।