প্রায় সাড়ে চার মাসের অচলাবস্থার পর দেশের ১০ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থায় নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। গত বছরের ২১ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে পুরনো কমিটিগুলো ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর ছয় দিনের মাথায় এনএসসি অ্যাডহক কমিটির কাঠামো নির্ধারণ করে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। তবে বেশিরভাগ সংস্থার প্রস্তাবিত কমিটি জমা দিতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়, আর এনএসসি সেগুলো অনুমোদন দিতেও দেরি করে।
অবশেষে রোববার এনএসসি প্রথম ধাপে চট্টগ্রাম বিভাগসহ ঝিনাইদহ, কুমিল্লা, ভোলা, ঝালকাঠি, মাগুরা, বগুড়া, মেহেরপুর, জামালপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে।
প্রতিটি কমিটিতে জেলা প্রশাসক আহ্বায়ক এবং জেলা ক্রীড়া অফিসার/যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও কমিটিতে সাবেক ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, সাংবাদিক এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রখ্যাত ফুটবলার মাহমুদুল হক লিটন এবং জামালপুরে সাবেক ক্রিকেটার জোবায়ের হোসেন লিখনকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এনএসসি প্রকাশিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাকে বিসিবি ও অলিম্পিক সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিতে হবে এবং প্রস্তাবিত সদস্যদের তালিকা ২৯ জানুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত করতে হবে।
কমিটি গঠনের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে সমালোচনা থাকলেও নতুন কমিটি ঘোষণার ফলে ক্রীড়া সংগঠনগুলোতে প্রাণ ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর খেলাধুলার কার্যক্রম এবং প্রশাসনিক কাজ পুনরায় সক্রিয় হবে।
এখন দেখার বিষয়, সারা দেশের জেলা-বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি কবে নাগাদ চূড়ান্তভাবে কার্যকর হবে।