আগামীকাল (২১ জানুয়ারি) বেইজিংয়ে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্ভাব্য বেইজিং সফর নিয়ে আলোচনা হবে। চীন চায়, আগামী মার্চে বাও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ড. ইউনূসকে বেইজিং সফরে আমন্ত্রণ জানাতে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৭ ও ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিতব্য বিএফএ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ড. ইউনূসকে ইতোমধ্যেই আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন। ঢাকার কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সফরটি বহুপাক্ষিক এবং দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
চীনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ড. ইউনূসের বাও ফোরামে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের আয়োজন করা হবে। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, এই সফরের জন্য ড. ইউনূসের প্রয়োজন হলে বিশেষ উড়োজাহাজের ব্যবস্থাও করতে প্রস্তুত চীন।
তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার মতে, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের কারণে এই সময়সূচি নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে। এতো কম সময়ে সফরের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
এদিকে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন তিন দিনের সফরে আজ (২০ জানুয়ারি) চীনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তার এই সফরে প্রধান উপদেষ্টার বেইজিং সফর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। তিনি ২৪ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসবেন।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।