শেষ ওভারে দুর্বার রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল ১৭ রান, আর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের প্রথম বিপিএল সেঞ্চুরির জন্য দরকার ছিল ৯ রান। খুলনা টাইগার্সের পেসার হাসান মাহমুদের করা ওভারে ঠিক ৯ রান তুলে নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেও দলকে জেতাতে ব্যর্থ হন বিজয়। ৫৭ বলে ৯টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১০০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেও তার দল রাজশাহী হার মানে মাত্র কয়েক রানের ব্যবধানে।
বিজয়ের এই ইনিংস চলতি বিপিএলের ৭ম সেঞ্চুরি, যা এক আসরে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। ২০১৯ সালের বিপিএলে ৬টি সেঞ্চুরি হয়েছিল, যা এতদিন ধরে সর্বোচ্চ রেকর্ড হিসেবে ছিল। এবারের আসরের ২৬তম ম্যাচেই সেই রেকর্ড ভেঙে যায়।
চলতি বিপিএলের সেঞ্চুরির যাত্রা শুরু হয়েছিল চিটাগাং কিংসের পাকিস্তানি ব্যাটার উসমান খানের হাত ধরে। রাজশাহীর বিপক্ষে তিনি ৬২ বলে করেন ১২৩ রান। এরপর ঢাকা ক্যাপিটালসের অধিনায়ক থিসারা পেরেরা ইনিংসের শেষ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। সিলেট পর্বে রংপুর রাইডার্সের অ্যালেক্স হেলস ৫৬ বলে ১১৩ রানের ঝড় তোলেন। একই পর্বে লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিমও সেঞ্চুরি করেন, যেখানে লিটনের ইনিংসটি ছিল বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম।
পরে চিটাগাং কিংসের গ্রাহাম ক্লার্ক জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৫০ বলে সেঞ্চুরি করে আলোড়ন তোলেন। আর সর্বশেষ রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি আসে রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে।
২০১৯ সালের বিপিএলে এক বছরে ৮টি সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল, যা এখনও অক্ষত। তবে চলতি আসরে এখনও ২০টি ম্যাচ বাকি। তাই নতুন রেকর্ড দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিপিএলের এই প্রতিযোগিতা শুধু উত্তেজনা বাড়ায়নি, বরং প্রতিবারের মতো ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে আরও রোমাঞ্চ যোগ করেছে।