ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে টপ অর্ডারের ভরাডুবি চিটাগাং কিংসের জন্য হয়ে দাঁড়ায় হার নিশ্চিত করার মূল কারণ। ইনিংসের প্রথম ছয় ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে তারা। এরপর আরাফাত সানি ও মোহাম্মদ মিঠুনের সংগ্রামী ব্যাটিংয়ের সুবাদে কোনোমতে ১০০ রানের গণ্ডি পেরোয়। তবে ১২১ রানের ছোট লক্ষ্যে খুব একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি তাদের বোলাররা। বরিশালের ডেভিড মালানের অপরাজিত ফিফটির সুবাদে ১৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় ফরচুন বরিশাল।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে চিটাগাং প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২১ রান তোলে। জবাবে, বরিশাল ১৭ ওভার ১ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে সহজেই জয় নিশ্চিত করে।
ম্যাচ শেষে চিটাগাং কিংসের সহকারী কোচ এনামুল হক দলের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে টপ অর্ডারের ব্যাটিংকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, “পাওয়ার প্লেতে ৩-৪টি উইকেট পড়ে গেলে পুরো দল চাপে পড়ে যায়। আমাদের টেইলএন্ডাররা এক্সপোজড হয়ে যায়। ব্যাটারদের আরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। তাহলে আমরা পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।”
তবে চট্টগ্রামের উইকেট নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই কোচের। তিনি বলেন, “উইকেটে কোনো সমস্যা ছিল না। ভালো বোলিংয়ের কারণেই উইকেট পড়েছে। এই বিপিএলের উইকেটগুলো বেশ ভালো হয়েছে, চট্টগ্রামও এর ব্যতিক্রম নয়।”
কোচ আরও বলেন, “গ্রাহাম ক্লার্ক ও উসমান টুর্নামেন্টজুড়ে ভালো ফর্মে ছিল। তবে তারা দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ায় ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। এই বিপিএলের জন্য কিউরেটরদের প্রশংসা করতেই হবে। আশা করছি, সামনে আরও হাই স্কোরিং ম্যাচ দেখতে পাব।”
চিটাগাং কিংসের জন্য এটি হতাশার ম্যাচ হলেও, কোচের মতে দল দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখে।