বাংলাদেশে বিশাল ব্যাংক জালিয়াতি ও দুর্নীতির তদন্ত চলছে, যার কেন্দ্রে রয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক, যুক্তরাজ্যের সাবেক মন্ত্রী এবং বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ রেহানার মেয়ে। বাংলাদেশের চারটি সংস্থা, বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গেছে, দেশের কয়েকটি ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে কিছু টাকা লেনদেন হয়েছে, যার একটি অংশ টিউলিপ সিদ্দিকের কাছে পৌঁছেছে বা তিনি এর সুবিধা ভোগ করেছেন। এছাড়া, কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থও টিউলিপের কাছে পৌঁছেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে যুক্তরাজ্য সরকারও তদন্ত করছে।
প্রথমে ২০০৯ সালে শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিয়োগের পরই ব্যাংক লুটের ঘটনা শুরু হয়, যা ২০১৩ সালে সেন্ট্রাল ব্যাংকের তদন্তে বেরিয়ে আসে। এছাড়া, সোনালী ব্যাংকের জালিয়াতির ঘটনায়ও টিউলিপ সিদ্দিকের নাম উঠে এসেছে।
২০১৩ সালে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি নিয়েও টিউলিপের নাম সংশ্লিষ্ট। এছাড়া, ৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শেখ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে, যার মধ্যে টিউলিপের নামও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যে চলছে পৃথক তদন্ত, এবং উভয় দেশ একযোগে আরও গভীরভাবে তদন্ত চালানোর পরিকল্পনা করেছে। বিএফআইইউ এর সমঝোতার আওতায় যুক্তরাজ্যের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
এদিকে, শেখ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আরও ১০টি বড় শিল্প গ্রুপের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।