তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ও এক ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে আপিল বিভাগ। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি এসব আবেদন শুনানি হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ রোববার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চে এসব আবেদন কার্যতালিকার ১৩ নম্বরে ওঠে। বিএনপির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন শুনানির সময় আরও দুই সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
২০১১ সালে আপিল বিভাগ ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে রায় দিয়েছিল। এরপর ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাস করা হয়।
পঞ্চদশ সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের অক্টোবরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আরও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সংগঠন রিভিউ আবেদন করেন। এর মধ্যে অন্যতম আবেদনকারী ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
আদালত জানিয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে আগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ নথি পর্যালোচনা করা হবে। একইসঙ্গে ৯ ফেব্রুয়ারির শুনানিতে সংশোধনী আইনের বৈধতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে।
১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, তা সংবিধানসম্মত বলে ২০০৪ সালে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল। তবে ২০১১ সালে আপিল বিভাগ এই রায় বাতিল করে দেয়।
এবারের রিভিউ আবেদনগুলো নিয়ে নতুন করে আইনি বিতর্ক শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো গভীর আগ্রহে ৯ ফেব্রুয়ারির শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।