ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছাত্র সংসদের নির্বাচন আয়োজনের দাবি জোরালো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব ছাত্রসংগঠনই ডাকসু নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে। তবে ছাত্রদলসহ কয়েকটি সংগঠন গঠনতন্ত্র সংস্কারের দাবি তুলেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। গত ২৫ ডিসেম্বর গঠিত এই কমিটি বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের মতামত সংগ্রহ করছে। তাদের প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করা, উপাচার্যের নির্বাহী ক্ষমতা সীমিত করা এবং কার্যকর সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব নির্বাচিত সদস্যদের হাতে ছেড়ে দেওয়া।
একাধিক সংগঠন প্রস্তাব দিয়েছে, ডাকসু নির্বাচনের জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ এবং নির্বাচনে প্রার্থীদের বয়সসীমা নতুনভাবে নির্ধারণ করা। অন্যদিকে, ডাকসুর গঠনতন্ত্রে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার মাধ্যমে ভবিষ্যতের নির্বাচন আরও স্বচ্ছ এবং কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। দীর্ঘ ২৮ বছরের বিরতির পর আয়োজিত সেই নির্বাচনে ভিপি পদে জয়ী হয়েছিলেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী নুরুল হক।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্র রাজনীতির নতুন কাঠামো গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা। তাদের মতে, দ্রুত ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করলে তরুণ নেতৃত্বের বিকাশ ঘটবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন জানিয়েছে, গঠনতন্ত্র সংশোধনের কাজ দ্রুত শেষ করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে। এর মাধ্যমে ছাত্রসমাজ নতুন নেতৃত্ব খুঁজে পাবে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।