বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী জানিয়েছেন, দীর্ঘ আট বছরের বন্দিজীবনে প্রায় ৪১ হাজার বার তার চোখ ও হাত বাঁধা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি ২০২৫) নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি এই মর্মস্পর্শী অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
তিনি লেখেন, বিনা অপরাধে তাকে আট বছর ধরে অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বন্দি রাখা হয়েছিল। “আয়না ঘর” নামক সেই প্রকোষ্ঠ থেকে টয়লেটে যেতে তাকে হাতে হাতকড়া এবং চোখে মোটা কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হতো। এছাড়া মাথা থেকে ঘাড় পর্যন্ত যম টুপির মতো মুখোশ পরানো হতো। তার একাধিক অভিযোগের পর মুখোশ পড়ানো বন্ধ হলেও চোখ-হাত বাঁধা চলতে থাকে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, আট বছরের বন্দিজীবনের ২,৯০৮ দিনে প্রায় ৪১ হাজার বার তার চোখ ও হাত বাঁধা হয়েছে। “এত নির্মম জুলুম পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোথাও আছে কি না সন্দেহ।”
আযমী কোরআনের একটি আয়াত উদ্ধৃত করে লেখেন, “মহান আল্লাহ বলেছেন— আমি জুলুম হারাম করেছি। এই জালিমদের আখেরাতে কী পরিণতি হবে?”
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে গুমের শিকার হন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আজমের পুত্র আবদুল্লাহিল আমান আযমী। ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন তিনি মুক্তি পান। মুক্তির পর থেকে তিনি বন্দিজীবনের নানা লোমহর্ষক ঘটনার কথা জানাচ্ছেন।