ক্যাপ্টেন নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাট থেকে এলো ৬৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তবে তাকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউই তেমন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। সোবহানা মোশতারি এবং স্বর্ণা আক্তার কেবল বিশের ঘর পার করতে পেরেছেন। ফলে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৪ রানে। তবে স্পিনারদের দাপটে সেই রানই যথেষ্ট প্রমাণিত হয়েছে।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নারী দলকে ৬০ রানে হারিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার আশা উজ্জ্বল করেছে। নাহিদা আক্তারের তিন উইকেটের সঙ্গে রাবেয়া খান এবং ফাহিমা খাতুন দুটি করে উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের ইনিংসকে ১২৪ রানে গুটিয়ে দেন। পেসার মারুফাও নিয়েছেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে এমন জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচটি হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের জন্য ফাইনালের সমান। শুক্রবার রাতে সেই ম্যাচে জয় পেলেই সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার টিকিট নিশ্চিত করবে বাংলাদেশ। এমনকি ম্যাচটি যদি বৃষ্টিতে পণ্ডও হয়, তবুও বাংলাদেশ পয়েন্ট তালিকায় নিউজিল্যান্ডকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবে।
এই ম্যাচে টাইগ্রেসদের শুরুটা ছিল ধীরগতির। পাওয়ারপ্লেতে রানরেট ছিল ৪-এর নিচে। তবুও প্রথম উইকেটে গড়ে ৩০ রানের জুটি। পরে দ্রুত উইকেট হারালেও জ্যোতি একপ্রান্ত ধরে রাখেন। সোবহানার সঙ্গে গড়ে তোলেন ৫১ রানের এবং স্বর্ণার সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি। তবে মিডল এবং লোয়ার মিডল অর্ডারে স্বর্ণা ছাড়া কেউই তাকে সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি।
কিন্তু বোলিং ইনিংসে টাইগ্রেসদের নিয়ন্ত্রিত স্পিন আক্রমণে রীতিমতো কাঁপিয়ে দেওয়া হয় ক্যারিবিয়ান ব্যাটারদের। শেমেইন ক্যাম্পবেলের ২৮ এবং হেইলি ম্যাথিউসের ১৬ রানের ইনিংস ছাড়া কারোই ইনিংস উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি। শেষদিকে শেরি অ্যান-ফ্রেজার এবং কারিশমা রামহারাকের ইনিংসও ম্যাচ বাঁচানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল না।
এই জয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী দল বিশ্বকাপের স্বপ্নকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। ভারতীয় মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য আট দলের এই বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নেওয়ার জন্য শুক্রবারের ম্যাচটি হয়ে উঠেছে তাদের জন্য একটি ‘ডু অর ডাই’ লড়াই।