বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সুশাসন, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচারের মূল্যবোধ রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি নিশ্চিত করতে চান যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত শুধুমাত্র দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে। জনগণ একটি শান্তিপূর্ণ, নির্যাতন-মুক্ত এবং রাজনৈতিক নিরাপত্তার মধ্যে জীবনযাপন করতে চায়। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে দ্রুত পুনরাবর্তন সম্ভব।
ঢাকার একটি হোটেলে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে মির্জা ফখরুল এসব মন্তব্য করেন। এই ইফতার অনুষ্ঠানে বিদেশি কূটনীতিকরা অংশগ্রহণ করেন, এবং বিএনপি মহাসচিব তাদের সাথে ইফতার করেন। অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ, মার্কিন, পাকিস্তানি, তুর্কি, চীনা, ভারতীয় সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ফখরুল বলেন, ‘৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান ছিল জনগণের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের প্রতিফলন, যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণের সংগ্রামের একটি অংশ।’ তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলনে বিএনপি ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলের নেতৃত্ব ছিল, যা দেশের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের প্রতি জাতির সংগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করে।
ইফতার অনুষ্ঠানের শুরুতে, ফখরুল দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং যারা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বিশ্বব্যাপী বন্ধু এবং অংশীদাররা বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানাবে এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও মানবাধিকার রক্ষার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবে।