বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় শূন্যরেখা বরাবর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন নিয়ে সম্প্রতি উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-মালদহ সীমান্তে দুই দেশের কয়েক হাজার হাজার মানুষ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এ ঘটনার পর দুই দেশের সীমান্তে সাধারণ মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে কঠোর হয়েছে বিজিবি এবং বিএসএফ।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় (অনলাইন) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের নাগাটা সীমান্ত এলাকায় একটি আমবাগানে চারটি বাংকারের সন্ধান পেয়েছে।
সেখান থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকার নিষিদ্ধ কাশির সিরাপের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, আমাদের মনে হচ্ছে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে এগুলো এখানে আনা হয়েছিল। গোপন খবরে সেই অপচেষ্টা রুখে দেওয়া গিয়েছে। কিন্তু জমির মালিকের খোঁজ মিলছে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বিঘা জমিজুড়ে আমবাগান। বাগানের ভেতরে একটি কুঁড়েঘরও রয়েছে। নিরিবিলি এই জায়গাটির মালিকের নাম লাল্টু মহারাজ। স্থানীয়দের কেউ তাকে দেখেছেন, কেউ দেখেননি।
তবে নামের সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত। আরো বলা হয়, গতকাল শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে প্রায় ২৫ ঘণ্টা ওই আমবাগানে তল্লাশি অভিযান চালায় বিএসএফ। তখনই খোঁজ মিলে চারটি বাংকার। আর তার মধ্যে রাখা কার্টনভর্তি রাখা নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ। যা নিয়ে এলাকায় হইচই পড়ে যায়।
এ বিষয়ে কৃষ্ণনগর পুলিশ সুপার অমরনাথ কে জানান, বিএসএফ যেভাবে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছে, পুলিশ তা করেছে। কোনো অভিযোগ জানালে তার তদন্ত করবে পুলিশ।
অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি (জনসংযোগ) এনকে পাণ্ডে বলেন, ‘বিএসএফের গোয়েন্দারা জমির মালিকের ব্যাপারে অনুসন্ধান করছেন। আমরা আশাবাদী মূল মাথা অবধি পৌঁছানো সম্ভব হবে।’
তবে স্থানীয়দের অসহযোগিতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএসএফের ডিআইজি। তিনি জানান, স্থানীয়রা জমির মালিক সম্পর্কে কোনো তথ্য দিচ্ছেন না। তার কথায়, ‘স্থানীয়দের অসহযোগিতায় আমাদের কাজ একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’