বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, যিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তার দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সায়মা ওয়াজেদ কানাডার নাগরিকত্বও বহন করছেন, যদিও তিনি বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ডব্লিউএইচওর এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচন করেন।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দাবি করেছে, সায়মা ওয়াজেদ কানাডার নাগরিক হিসেবে মনোনয়ন গ্রহণ করেছিলেন, যা নৈতিকভাবে বিতর্কিত বলে বিবেচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী, বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে সরকারী চাকরি করা সম্ভব নয়, তবে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার বড় পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো স্পষ্ট বিধিনিষেধ নেই।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানও বলেন, সায়মা ওয়াজেদের মনোনয়ন ও নির্বাচনের সময় তার যোগ্যতা ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা অবস্থায় তার এই পদে আসা নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
এদিকে, সরকারী কর্মকর্তারা জানান, সায়মা ওয়াজেদ তার কানাডীয় পাসপোর্ট ২০১৮ সালে পেয়েছিলেন এবং এটি ২০২৩ সালে পুনরায় ইস্যু করা হয়েছে। এছাড়া, তাঁর কানাডার নাগরিকত্বের বিষয়টি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানে না, কারণ সায়মা কোনো দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ গ্রহণ করেননি।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, সায়মা ওয়াজেদ যদি কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন, তবে তার দ্বৈত নাগরিকত্বের প্রশ্ন আরও গুরুত্ব পাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নিজের কর্মীদের সততার নীতি অনুসরণ করতে উদ্বুদ্ধ করে, তবে সায়মা ওয়াজেদের দিক থেকে এই বিষয়টি নৈতিকতার প্রশ্ন তুলে ধরেছে। অনেকেই মনে করছেন, সায়মা ওয়াজেদের উচিত হবে নিজ দায়িত্ব থেকে সরে আসা।