বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলী খান গত ১৫ জানুয়ারি গভীর রাতে নিজের বান্দ্রার বাড়িতে ভয়াবহ হামলার শিকার হন। দুর্বৃত্তরা তাঁর শরীরে ছয়বার ছুরিকাঘাত করে। আক্রমণের পর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর ছেলে ইব্রাহিম আলী খান। খবর পেয়ে দ্রুত বাবার বাড়িতে পৌঁছালেও কোনো গাড়ি না পেয়ে একটি অটোরিকশায় করেই মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করান ইব্রাহিম।
হামলার খবর প্রকাশ্যে আসার পর ১৬ জানুয়ারি সকালে সাইফের স্ত্রী কারিনা কাপুর খান এক বিবৃতিতে জানান, সাইফের হাতে গুরুতর আঘাত লেগেছে এবং তাঁর চিকিৎসা চলছে। পরিবারের অন্য সদস্যরা ভালো আছেন। তিনি ভক্তদের গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করেন। সেদিনই সাইফের শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। মেরুদণ্ডের কাছে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়। এই ঘটনায় কারিনা, সোহা আলী খান, সারা আলী খানসহ বলিউডের অনেক তারকা হাসপাতালে সাইফকে দেখতে যান।
মুম্বাই পুলিশ হামলার পর তদন্ত শুরু করে। বান্দ্রা স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে সন্দেহভাজন একজনকে দেখা যায়। ১৯ জানুয়ারি পুলিশ শরিফুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশিকে মহারাষ্ট্রের একটি ম্যানগ্রোভ জঙ্গল থেকে আটক করে। আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। তবে শরিফুলের বাবা রুহুল আমিন দাবি করেন, সিসিটিভিতে দেখা ব্যক্তি তাঁর ছেলে নয়। যদিও তিনি স্বীকার করেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি তাঁর সন্তান।
হাসপাতালে পাঁচ দিন কাটিয়ে ২১ জানুয়ারি বাড়ি ফেরেন সাইফ। বাড়ি ফেরার আগে তিনি সেই অটোচালকের সঙ্গে দেখা করেন যিনি তাঁকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছিলেন। অটোচালকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন সাইফ। তবে এ ঘটনায় রহস্যের জট এখনও কাটেনি। হামলাকারীর উদ্দেশ্য এবং প্রকৃত সত্য জানতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। বলিউডজুড়ে এই ঘটনা আলোড়ন তুলেছে, আর ভক্তরা সাইফের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন।