বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের মধ্যে সরকারের সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট বা সরবরাহ ঋণের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে বেসরকারি খাতে বায়ার্স ক্রেডিটের পরিমাণ কমছে। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির বিপরীতে সরবরাহ ঋণ নেয়া হচ্ছে, কিন্তু ঋণ পরিশোধ কমে যাওয়ায় ঋণের স্থিতি বাড়ছে। একই সময়, বেসরকারি খাতে আমদানির বিপরীতে নেয়া বায়ার্স ক্রেডিটের পরিমাণ কমে গেছে এবং নিয়মিত পরিশোধের কারণে ঋণের স্থিতি কমেছে।
বিশ্বব্যাপী সুদের হার বৃদ্ধির কারণে, সরবরাহ ঋণ ও বায়ার্স ক্রেডিটের উপর অতিরিক্ত সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। ২০২২ সালের পর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে সুদের হার ৭-৯ শতাংশে পৌঁছেছে, যা এখন ৩ শতাংশ বাড়তি সুদ পরিশোধের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। একই সাথে, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি এবং ৩৬ টাকা বেশি দিয়ে ডলার কেনা, টাকার ওপরও চাপ বাড়াচ্ছে। এ পরিস্থিতি ঋণের খরচ বৃদ্ধি এবং পণ্যের দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে কাজ করছে।