চট্টগ্রামে ৪৭০ একর সমুদ্রসৈকত শ্রেণির ভূমি ডোবা হিসেবে দেখিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের দুটি কোম্পানিকে বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ভূমি মন্ত্রণালয়ের এই বরাদ্দ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভূমিসচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), এবং চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালত কমিটিকে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী তিন মাসের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন।
গত বছরের ১০ অক্টোবর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের চর বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের তিনটি মৌজার সমুদ্রসৈকত শ্রেণির ৪৭০ একর জমি ডোবা হিসেবে দেখিয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, জমির শ্রেণি পরিবর্তনের ফলে সরকারের প্রায় ১৮০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ কাওছার রিট আবেদন করেন। রিটে তিনি বরাদ্দের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তদন্তের দাবি জানান। শুনানিতে আদালত রুল জারি করে বলেন, বরাদ্দ প্রক্রিয়া কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে হবে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বালুচর শ্রেণির জমি দ্রুত শ্রেণি পরিবর্তন করে বসুন্ধরাকে মাত্র ৫৫ কোটি টাকায় বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা বাজারমূল্যের তুলনায় তিনগুণ কম।
হাইকোর্টের এই নির্দেশনা নিয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ কাওছার বলেন, “এটি একটি গুরুতর অনিয়ম, যেখানে সরকারি সম্পদ ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থে সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আদালত সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন।”
এই মামলার পরবর্তী পদক্ষেপে ভূমি বরাদ্দে জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।