বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা তারকা সাকিব আল হাসান সাম্প্রতিক সময়ে বোলিং অ্যাকশনের সমস্যার কারণে বোলার হিসেবে খেলার অনুমতি পাচ্ছেন না। বোলিং ছাড়াই ব্যাটার হিসেবে দলে ফেরার আশা করলেও জাতীয় দলে জায়গা হয়নি সাকিবের।
শনিবার রাতে জানা যায়, দ্বিতীয়বার বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হতে পারেননি সাকিব। নিয়ম অনুযায়ী বোলিং শুধরে না নেওয়া পর্যন্ত তার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করা সম্ভব নয়। কিন্তু কেবল ব্যাটার হিসেবেও তাকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট।
রবিবার প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু স্পষ্টভাবে জানান, টিম কম্বিনেশনের কথা মাথায় রেখে শুধু ব্যাটার সাকিবকে দলে রাখা হয়নি। তার ভাষায়, “বোলিং অ্যাকশনের কারণে আমরা সাকিবকে বিবেচনায় আনি শুধু ব্যাটার হিসেবে। কিন্তু দল সাজানোর ক্ষেত্রে সেই অবস্থানে তাকে জায়গা দিতে পারিনি।”
তবে প্রশ্ন উঠেছে, ব্যাটার সাকিবের সাম্প্রতিক ফর্ম কি পুরোপুরি উপেক্ষিত হলো? সর্বশেষ ১০ ওয়ানডে ম্যাচে তিনটি ফিফটি (৮০, ৮২ ও ৫৩) এবং দুবার চল্লিশের ঘরে রান (৪০ ও ৪৩) করেছেন সাকিব। তবুও, তার ৩২২ রানের পারফরম্যান্স কোনো গুরুত্ব পায়নি।
নির্বাচকের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, যারা ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলছেন, তাদের ওপরই আস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু সাকিবের মতো অভিজ্ঞ এবং ধারাবাহিক পারফর্মারকে এভাবে উপেক্ষা করা কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে চলছে তীব্র আলোচনা।
জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে সাকিবকে হয়তো আরও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তবে তার অভাবনীয় প্রতিভা এবং দৃঢ় মনোভাব তাকে ক্রিকেটে আবারও উজ্জ্বল করে তুলবে, এমনটাই প্রত্যাশা ভক্তদের।