ফুটবল কখনো শেষ হওয়ার আগে শেষ হয় না—ম্যানচেস্টার সিটি বনাম রিয়াল মাদ্রিদের এই ম্যাচ যেন সেই সত্যিটাই আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। ইতিহাদে প্রায় ৮৫ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তের ছয় মিনিটের ঝড়ে বিধ্বস্ত হলো সিটি। রিয়াল মাদ্রিদ দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩-২ গোলের অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিল, যেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের রাজত্বের আরেকটি চিহ্ন এঁকে দিল।
প্রথমার্ধের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। ১৯ মিনিটে ইউস্কো গাভার্দিওলের পাস থেকে সহজ গোল করেন আর্লিং হালান্ড, এনে দেন সিটিকে স্বস্তির লিড। রিয়াল এরপর একাধিকবার গোলের সুযোগ পেলেও বারবার ব্যর্থ হয়। বিশেষ করে কিলিয়ান এমবাপ্পের কয়েকটি মিস হতাশ করেছিল মাদ্রিদ ভক্তদের।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে সব বদলে যেতে থাকে। ৬০ মিনিটে ফেদে ভালভের্দের ফ্রি-কিক থেকে বল পেয়ে দানি সেবায়োসের পাসে কঠিন এক শটে সমতা ফেরান এমবাপে। ম্যাচে উত্তেজনার পারদ তখনই চরমে ওঠে। কিন্তু ৮০ মিনিটে ফিল ফোডেনকে ফাউল করে রিয়াল পেনাল্টি উপহার দেয় সিটিকে। স্পটকিক থেকে গোল করে আবারও দলকে এগিয়ে দেন হালান্ড।
তবে রিয়াল মাদ্রিদ মানেই শেষ মুহূর্তে নাটকীয়তা। ৮৪ মিনিটে বদলি হিসেবে নামানো হয় ব্রাহিম দিয়াজকে। দুই মিনিটের মধ্যেই গোল করে দলের সমতা ফেরান তিনি। এরপর অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে আসে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া গোল। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে শট না নিয়ে বল বাড়ান জ্যুড বেলিংহামের কাছে, যিনি সহজেই গোল করে রিয়ালকে ঐতিহাসিক এক জয় উপহার দেন।
এই জয়ে শেষ ষোলোয় ওঠার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল কার্লো আনচেলত্তির দল। ১৯ ফেব্রুয়ারি সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরতি লেগে হবে চূড়ান্ত লড়াই, যেখানে সিটিকে এখন ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য লড়তে হবে জীবন বাজি রেখে।