ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে, যা তার দেশের প্রতি রাজনৈতিক চাপ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উত্তেজনা নতুন এক মোড় নিয়েছে। ৫ আগস্ট বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে দিল্লি চলে যান, এবং এখন প্রায় পাঁচ মাস পর তার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এসেছে।
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়ার কথা জানানো হলেও, গত ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ভারত সরকারকে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য নোট ভার্বাল প্রেরণ করে। তবে, এখন পর্যন্ত দিল্লির পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বরং, জানা গেছে, শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে, যা ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং লোকাল ফরেনার্স রিজিওনাল অফিসের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশের পাসপোর্ট অধিদপ্তর শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে গুম ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। তারই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, এবং এ পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতের সরকার তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠেছে, যেখানে বাংলাদেশ হাসিনাকে ফেরত চাচ্ছে এবং ভারত তাকে আরও সময় থাকতে দিচ্ছে।