রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান, যিনি অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বক্তব্য রাখছিলেন, তাকে হামলা করা হয়। শনিবার এ ঘটনা ঘটে এবং হামলায় ফারুক হাসান গুরুতর আহত হন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফারুক হাসান তার বক্তব্যে বলেছিলেন, “আমরা শেখ হাসিনার সংবিধান ছুড়ে দিয়ে বিপ্লবী সরকার প্রতিষ্ঠা করেছি, এবং আমরা অন্তর্বর্তী সরকার চাইনি।” এর পরেই একদল যুবক তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ফারুকের অভিযোগ, ছাত্রদল এই হামলা চালিয়েছে এবং তার মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান অভিযোগ করেছেন, হামলা করেছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্যরা। তিনি শাহবাগ থানায় যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মো. আরিফ জানিয়েছেন, হামলাকারীদের পরিচয় সম্পর্কে তারা কিছু জানেন না।
এই ঘটনাটি ঢাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, এবং হামলার কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন পক্ষের ভিন্নমত রয়েছে।