যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে টানা ছয় দিন ধরে চলমান ভয়াবহ দাবানলে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৪ জন। দাবানল পুরো শহরজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে, আর পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই দাবানল শহরের ব্রেন্টউড থেকে ঘনবসতিপূর্ণ সান ফার্নান্দো উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়েছে। বাতাসের তীব্র গতি এবং শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন নেভানোর কাজ ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা সতর্কতা জারি করেছে।
এদিকে, অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। নতুন করে যুক্ত হওয়া কর্মী এবং আধুনিক সরঞ্জামের সাহায্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। তবে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি এবং ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কারণ পরিত্যক্ত এলাকায় লুটপাটের ঘটনাও ঘটছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির শেরিফ রবার্ট লুনা জানান, মৃতদেহ উদ্ধারে প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করা হচ্ছে। আগুনের কারণে ঘরবাড়ি হারানো হাজারো মানুষ এখন চরম সংকটে রয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ববি সালমানের মতো অনেকে পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রস্তাবও এসেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৫০ জন অগ্নিনির্বাপণকর্মী পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে পরিস্থিতি কতটা সামাল দেওয়া যাবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
লস অ্যাঞ্জেলেসের এই দাবানল শুধু একটি দুর্যোগ নয়, এটি শহরটির বাসিন্দাদের জীবনে চরম সংকট ডেকে এনেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও অগ্নিনির্বাপণকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যথেষ্ট হবে কি না, তা নিয়ে এখনই স্পষ্ট কিছু বলা সম্ভব নয়।