মঙ্গলবার কমলাপুর রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় রেল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফৌজুল কবির খান রেলওয়ের চলমান ধর্মঘট দ্রুত প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “দাবি যৌক্তিক হতে পারে, তবে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রেখে যাত্রীদের জিম্মি করা দুঃখজনক।”
ধর্মঘটের কারণে সারা দেশে ট্রেন চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ইজতেমা উপলক্ষে যাত্রীদের বাড়তি ভিড় থাকায় তাদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। অনেক যাত্রী কোনো ধরনের পূর্বাভাস ছাড়াই স্টেশনে এসে বিপাকে পড়েছেন। ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, রাজশাহী এবং কক্সবাজারগামী যাত্রীরা স্টেশনে আটকে পড়েছেন।
রেল উপদেষ্টা বলেন, “আমরা সবসময় আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। তবে বিষয়টি রেল মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়, কারণ এটি অর্থ বিভাগ সংশ্লিষ্ট। আমরা আশা করছি, দ্রুতই সমাধান হবে।”
যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ২০টি বাস চালু করেছে। কমলাপুর ও এয়ারপোর্ট স্টেশনে ১০টি করে বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম।
ধর্মঘটের ফলে সারাদেশের স্টেশনগুলো প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে। কমলাপুরের টিকিট কাউন্টারগুলো ছিল শুনশান। যাত্রীরা বলছেন, আগে থেকে কোনো ঘোষণা না থাকায় তাদের এই সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের ট্রেনের টিকিট দিয়ে বিআরটিসি বাসে ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে এ পরিস্থিতিতে যাত্রীরা দ্রুত সমাধান দাবি করছেন।