শেষ দুই ওভারে খুলনার প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। ম্যাচের উত্তেজনা তখন তুঙ্গে। ১৯তম ওভারে আকিফ জাভেদ প্রথম বলে ডট দিয়ে শুরু করেন এবং দ্বিতীয় বলে বোল্ড করেন মাহিদুল অঙ্কনকে। পরের বলগুলোতে দুই রান দিয়ে, শেষ বলেই ইমরুল কায়েসকে আউট করে খুলনার জয়ের আশা প্রায় শেষ করে দেন।
শেষ ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দায়িত্ব ছিল ১২ রান রক্ষা করার। প্রথম দুই বলে ডট, তৃতীয় বলে ওয়াইড, এরপর তিন বলেই তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের রাশ পুরোপুরি রংপুরের হাতে তুলে নেন তিনি। রানআউট হন মোহাম্মদ নওয়াজ ও নাসুম আহমেদ। শেষ বলে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন আবু হায়দার। শেষ ওভারে মাত্র তিন রান দিয়ে খুলনাকে ৮ রানে হারিয়ে দেয় রংপুর।
১৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেছিল খুলনা টাইগার্স। দারউইশ রসুলির ১৫ বলে ১৭ রান করার পর মিরাজ-নাইমের ৪৩ বলে ৬১ রানের দারুণ জুটি দলকে এগিয়ে নেয়। মিরাজের ২৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংস ও নাইমের ৪১ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খুলনার জন্য আশার আলো দেখিয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে মেহেদি হাসান, আফিফ হোসেনসহ অন্যান্য ব্যাটাররা ব্যর্থ হওয়ায় দল জয় থেকে দূরে থেকে যায়।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি দুই ব্যাটার খুশদিল শাহ ও ইফতিখার আহমেদের শতরানের পার্টনারশিপ রংপুর রাইডার্সকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে সহায়তা করে। ৭০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর খুশদিল ৩৫ বলে ৭৩ রান করেন, যেখানে ছিল ৪টি চার ও ৬টি ছক্কা। ইফতিখারের ৩৬ বলে ৪৩ রানের ইনিংস তাদের স্কোরকে ১৮৬-তে নিয়ে যায়।
রংপুরের বোলার আকিফ জাভেদ ৩ উইকেট ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন।
সাত ম্যাচে টানা সাত জয়ে রংপুর রাইডার্স বিপিএলে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করেছে। বিপরীতে, খুলনা টাইগার্স পাঁচ ম্যাচে তৃতীয় হার নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় নিচের দিকেই রয়েছে।