ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সময়ের সাথে সাথে আরও বেশি জটিল আকার ধারন করছে। মার্কিন প্রশাসনের ইন্ধন পেয়ে মঙ্গলবার পশ্চিমাদের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। তা দিয়ে রাশিয়ার উপর একাধিক হামলা চালায় দেশটি।
জবাবে বসে নেই রাশিয়াও বৃহস্পতিবার নতুন প্রজন্মের মাঝপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চালিয়েছে দেশটি, যা পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। যেকোন সময় আরোও ভয়াবহ হামলা হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
যুদ্ধ মূলত রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে হলেও উদ্বেগ ও আশঙ্কার প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এই হামলাকে “উন্মাদ প্রতিবেশীর যুদ্ধের নৃশংসতা” হিসেবে অভিহিত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, সংঘাত বাড়ানোর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী রাশিয়া।
রাশিয়ার মাঝপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫,৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা পুতিনের ইউরোপে আঘাত হানার হুমকির জন্য যথেষ্ট। পুতিন বলেছেন, যারা তাদের অস্ত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে, তাদের সামরিক স্থাপনার বিরুদ্ধে তারা অস্ত্র প্রয়োগ করবে। অর্থাৎ পুরো ইউরোপে হামলার হুমকি দিয়েছে পুতিন।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা দ্বারা ভূপাতিত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এসব দেশকেও ছাড় দেয়া হবেনা বলে হুশিয়ারী দিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানায়, মস্কো যুক্তরাষ্ট্রকে হটলাইনে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পূর্বে অবহিত করেছে। রাশিয়ার পারমাণবিক মতবাদও হালনাগাদ করা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তাদের পারমাণবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বিশ্বব্যাপী সমালোচনার সৃষ্টি করেছে। ইউক্রেনের মিত্র রাষ্ট্ররা বলছেন, বর্তমান ঘটনাগুলো প্রমাণ করে যে রাশিয়া শান্তি চায় না।
অন্যদিকে জেলেনস্কি সতর্ক করেছেন, রাশিয়ার হামলা কেবল ইউক্রেনের জন্য নয়, বরং ইউরোপের জন্যও আশঙ্কাজনক। জাতিসংঘের মহাসচিবও রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ঘটনাকে উদ্বেগজনক ও দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেনের এই দন্দ্ব দুই দেশ ছাড়িয়ে পুরো ইউরোপ এমনকি আমেরিকা পর্যন্ত চলে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় বসে যুদ্ধ থামাতে কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।