দুই মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সমাপ্তি ঘটেছে আজ। রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে রংপুর ও সিলেটের মধ্যে ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে শেষ হয় টুর্নামেন্টটি। এই ফাইনাল দেখতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এই ফাইনালের এক ফাঁকে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে চলমান রাজনৈতিক মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে তিনি বলেন, কোনো খেলোয়াড় তাদের খেলার ক্যারিয়ার শেষ করার আগে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া ঠিক নয়। এতে খেলার পরিবেশ এবং রাজনীতির মধ্যে বিরোধ তৈরি হতে পারে। ক্যারিয়ার শেষে যে কেউ চাইলে রাজনীতিতে যোগ দিতে পারে বলে মত দেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে খেলাধুলার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক থাকা উচিত নয়। একজন খেলোয়াড় যখন মাঠে নামেন, তখন তার একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের সম্মান বাড়ানো। খেলা শেষে যদি কেউ রাজনীতিতে আসতে চান, সেটা তার ব্যক্তিগত অধিকার। তবে চলমান ক্যারিয়ারে রাজনীতি এড়ানো উচিত।”
তার মতে, রাজনীতির প্রভাব খেলাধুলার পরিবেশ নষ্ট করতে পারে। ফলে দেশের খেলার মানও হ্রাস পেতে পারে। তিনি বলেন, “খেলাধুলা মানুষের জন্য বিনোদনের একটি মাধ্যম, যা রাজনীতির বাইরে থাকা উচিত। খেলোয়াড়দের উচিত শুধু খেলায় মনোযোগ দেয়া।”
দেশের ক্রিকেট বোর্ডের বিভিন্ন সমস্যা ও বিতর্ক নিয়েও তিনি সতর্ক মতামত প্রকাশ করেন। খেলোয়াড়দের সঙ্গে বোর্ডের সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
ফখরুলের এই বক্তব্য দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আলোচনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। রাজনীতি ও খেলাধুলার মেলবন্ধন বা দূরত্ব নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা।