পৌষের মাঝামাঝি সময়ে উত্তরের বিভিন্ন জেলায় শীত জেঁকে বসেছে। ঘন কুয়াশায় বেলা গড়ালেও সূর্যের দেখা মিলছে না অনেক জায়গায়। তবে রাজধানী ঢাকায় গত কয়েকদিনে শীতের তীব্রতা তেমনভাবে অনুভূত হয়নি। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে, যা রাজধানীবাসীর শীতের অনুভূতিকে বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল থেকে কুয়াশায় ঢেকে আছে রাজধানী। সকাল সাড়ে ৯টার পরও সূর্যের দেখা মেলেনি। ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশা শীতের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় দুপুর পর্যন্ত শীতের অনুভূতি বজায় থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, নতুন বছরের প্রথম দিন (১ জানুয়ারি) ঢাকায় সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য নেমে এসেছে মাত্র ৫ ডিগ্রিতে। বুধবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যান্য বিভাগেও তাপমাত্রার চিত্র প্রায় একই।
জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তিন থেকে পাঁচটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, দেশের পশ্চিম, উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দু-একটি মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে তীব্র (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, অন্যান্য অঞ্চলে দু-তিনটি মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের ঠান্ডাজনিত রোগ এড়াতে গরম পোশাক এবং সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।