মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বন্দিবিনিময় সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে হামাস চার ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে, এর কয়েক ঘণ্টা আগেই ইসরায়েল ৬০০-র বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নিশ্চিত করেছে যে তারা ওহাদ ইয়াহালোমি, সাচি ইদান, ইতজিক এলগারাত ও সোলোমো মনসুরের মরদেহ গ্রহণ করেছে। আনুষ্ঠানিক শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
রামাল্লার এএফপির সাংবাদিকদের মতে, মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিরা উচ্ছ্বাসে আত্মীয়দের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন। অনেকে আনন্দে কাঁদেন, কেউ বা কাঁধে চড়ে উল্লাস প্রকাশ করেন।
এই বন্দিবিনিময় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের চূড়ান্ত অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হয়েছে। গত শনিবার হামাস ছয় ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় এবং সঙ্গে চারজনের মরদেহ হস্তান্তর করে। বিনিময়ে ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল, তবে ইসরায়েলি পক্ষ হামাসের ‘অসম্মানজনক আচরণ’ নিয়ে অভিযোগ তুলে প্রথমে তা স্থগিত রাখে। পরে মধ্যস্থতাকারীদের হস্তক্ষেপে বন্দিবিনিময় সম্পন্ন হয়।
এদিকে, দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, এ নিয়ে আলোচনার জন্য ইসরায়েল একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে, যা কাতারের দোহা অথবা মিসরের কায়রোতে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
এই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি নতুন কোনো সমঝোতার দিকে নিয়ে যেতে পারে কি না, তা এখন সময়ই বলে দেবে।