২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। পরীক্ষায় ৭০ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরা যেখানে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না, সেখানে বিভিন্ন কোটার মাধ্যমে ৪১ থেকে ৪৬ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশের ৫৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫,৩৮০টি আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য ২৬৯টি এবং পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর জন্য ৩৯টি আসন সংরক্ষিত। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটার অনেক সিট ফাঁকা থাকায় কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মেধাতালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা। একজন শিক্ষার্থী জানান, “৭০ এর বেশি নম্বর পেয়েও আমি ভর্তি হতে পারলাম না, অথচ কোটার মাধ্যমে ৪১ নম্বর পাওয়া একজন সুযোগ পাচ্ছে। এটা খুবই হতাশাজনক।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও এ নিয়ে সরব হয়েছেন। সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার লিখেছেন, “৪১ নম্বরে চান্স পেয়েছে কোটার জোরে, অথচ ৭৩ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। এই বৈষম্যের অবসান হওয়া দরকার।”
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. রুবীনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, কোটার আবেদন যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কোটাধারীদের কাগজপত্র যাচাই করতে ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই বৈষম্যমূলক ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে দেশব্যাপী তীব্র ক্ষোভ এবং নিন্দার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা কোটার সংস্কারের দাবি জানিয়ে বলছেন, মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ নিশ্চিত করা না হলে শিক্ষাক্ষেত্রে অসমতা আরও বাড়বে।