আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ দল যাচ্ছে তাদের অন্যতম সেরা স্পিনার সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই। যদিও দলের পেস আক্রমণ ভালো ফর্মে রয়েছে, তবু প্রতিযোগিতায় ভালো করতে হলে স্পিন বিভাগকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের স্পিনাররা খুব একটা ভালো করতে পারেননি। সেই সিরিজে বাংলাদেশের স্পিনাররা সম্মিলিতভাবে মাত্র ছয়টি উইকেট শিকার করতে পেরেছিলেন, যেখানে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয়।
বিশেষ করে, মধ্য ওভারে স্পিনাররা খেলায় প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হন, যেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা মূলত রান গড়ে তোলে এবং ইনিংসকে মজবুত করে।
সেন্ট ভিনসেন্টে অনুষ্ঠিত প্রথম ওয়ানডেতে মেহেদী হাসান মিরাজ ও রিশাদ হোসেন মিলে ১৫ ওভার বল করেন এবং দুজনই একটি করে উইকেট পান। তবে মাঝের ওভারে রানের লাগাম টানতে পারেননি তারা।
তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ৩২১ রান সংগ্রহ করার পর স্পিন বিভাগ শক্তিশালী করতে নাসুম আহমেদকে দলে নেওয়া হয়। তিনি পাওয়ার প্লেতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু দিলেও পরে রান খরচ করে ফেলেন এবং ৭ ওভারে ৫৬ রান দেওয়ার পর তাকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ওই ম্যাচেই ১৫ থেকে ৪০তম ওভারের মধ্যে রিশাদ ও মিরাজ ১৩ ওভার বল করেন। যদিও রিশাদ ৩৪ ও ৩৮তম ওভারে দুটি উইকেট নেন, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা ইতোমধ্যে স্পিনারদের মোকাবিলা করার কৌশল রপ্ত করে ফেলেছিল।
ক্যারিবিয়ান কন্ডিশনে স্পিনাররা লাইন ও লেন্থ ঠিক রাখতে বেশ ভুগেছেন। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুবাই ও রাওয়ালপিন্ডির উইকেট কেমন আচরণ করবে, সেটাই দেখার বিষয়। তবে উপমহাদেশীয় কন্ডিশনে সাধারণত মাঝের ওভারে স্পিনাররা গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু এনে দেন, যা এবারের টুর্নামেন্টেও প্রয়োজন হবে।
বাংলাদেশের সাবেক স্পিন কোচ এবং বর্তমানে বাংলাদেশ টাইগার্স প্রোগ্রামের প্রধান কোচ সোহেল ইসলাম মনে করেন, সাকিবের অনুপস্থিতিতে মিরাজ, রিশাদ কিংবা নাসুম—এই তিনজনের মধ্যে একজনকে স্পিন আক্রমণের নেতৃত্ব দিতে হবে।
“সাকিব বহুবার মাঝের ওভারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। মিরাজও সেই দায়িত্ব নিচ্ছে, রিশাদ ও নাসুমও আসছে। তাদের একটু সময় লাগবে,” বলেন সোহেল ইসলাম।
মিরাজ ১০৩ ওয়ানডেতে ১১০টি উইকেট নিয়ে এই তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ। টাইগারদের সাফল্যের জন্য এবার তার নেতৃত্বেই স্পিন বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে।