অস্থায়ী সরকার ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স (ভ্যাট) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের চাপের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে করে ৪৩ ধরনের পণ্য ও সেবায়, যেমন তৈরি পোশাক, এসি রেস্তোরাঁ, মিষ্টি, বিস্কুট, আচার, মশারি, টিস্যু পেপার এবং নন-এসি হোটেলে ভ্যাট ১৫% বাড়ানো হতে পারে। এর ফলে এসব পণ্য ও সেবার মূল্য বৃদ্ধি পাবে, যা সাধারণ মানুষের জন্য আরও চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ থেকে আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার বদলে উল্টো চাপ বাড়তে পারে। ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, ইতিমধ্যেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করেছে, এবং ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে এই চাপ আরও বাড়বে।
অর্থমন্ত্রী ড. সালেহুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে না, কারণ কিছু পণ্যে শুল্ক কমানো হবে। তবে ব্যবসায়িক মহল এটিকে আত্মঘাতী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
আইএমএফের শর্তানুযায়ী এই ভ্যাট বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এতে যেমন দেশের অর্থনীতি সংকটে পড়তে পারে, তেমনি জনগণের ক্রয়ক্ষমতাও কমে যেতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে বিপদজনক হতে পারে।