ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে গুমের শিকার ব্যবসায়ী খান মো. আক্তারুজ্জামান এবার একটি মিথ্যা মামলায় জড়িত হয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছেন। তার প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করে তাকে গ্রেফতার করিয়েছে, যদিও মামলার বাদী আদালতে হলফনামার মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, ভুলবশত আক্তারুজ্জামানের নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং তিনি এর সম্পর্কে কিছু জানেন না। এরপরও, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের অফিস থেকে আক্তারুজ্জামানকে র্যাব গ্রেফতার করে এবং পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আক্তারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন যে, তার ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষরা তার স্কুল এবং অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দখলের চেষ্টা করছে। আক্তারুজ্জামানের স্ত্রী সাজেদা আক্তার পপি জানিয়েছেন, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণে তাকে এই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
এদিকে, আক্তারুজ্জামান সম্পর্কে জানা গেছে, তিনি বিএনপি পরিবারের সন্তান এবং পূর্বে নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গুমের পর তাকে বড় অঙ্কের অর্থ প্রদান করতে বাধ্য করা হয়েছিল। এছাড়া, আক্তারুজ্জামান বর্তমানে একটি ভুয়া মামলায় অকারণ হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে তার সহকারীরা জানিয়েছেন।
আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য ছিল তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দখল করা এবং সামাজিকভাবে তাকে হেয় করা।