পৃথিবী সত্যিই এক বিশাল মঞ্চ। যেখানে সম্পদ আর সাফল্যের গল্পগুলো জীবন্ত হয়ে ওঠে। কেউ এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন পূরণ করেন, আবার কেউ দূর থেকে চেয়ে থাকেন বিস্ময় আর মুগ্ধতায়।
আজ আমরা জানব এমন দশজন কিংবদন্তির গল্প, যাঁরা পৃথিবীর শীর্ষ ধনী হিসেবে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করেছেন। শত বাঁধা পেরিয়ে নিজেকে নিয়েছেন সাফল্যের চূড়ান্ত শিখায়। হয়ে উঠেছেন সবার জন্য উদাহরণ।
ধনীদের তালিকায় বর্তমানে দশম অবস্থানে রয়েছেন
মাইক্রোসফটের সাবেক সিইও স্টিভ বলমার। বর্তমানে বলমার গ্রুপ ও লস অ্যাঞ্জেলেস ক্লিপারস বাস্কেটবল দলের মালিক। তাঁর বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১২৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তালিকায় নবম স্থানে রয়েছেন গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করা এই প্রযুক্তি জাদুকর গুগলকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনে পরিণত করেন। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
স্প্যানিশ ধনকুবের আমানসিও ওরতেগা রয়েছেন পরের অবস্থানে। ইন্ডিটেক্স ফ্যাশন গ্রুপের সহপ্রতিষ্ঠাতা তিনি। তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল এক সাধারণ কর্মচারী হিসেবে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি আজ ১৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক।
গুগলের আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ অ্যালগরিদম প্রযুক্তি দিয়ে সার্চ ইঞ্জিন দুনিয়ায় বিপ্লব ঘটান। গুগলের সাফল্যের পেছনে তাঁর বুদ্ধিমত্তা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৩৭.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন
ফ্রান্সের বিলাসপণ্যের ব্র্যান্ড এলভিএমএইচের কর্ণধার বার্নার্ড আরনল্ট। বিলাসী পণ্য উৎপাদন ও বিপণনে তাঁর প্রতিষ্ঠান শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। তাঁর বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১৯৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তালিকায় চর্তুথ অবস্থানে রয়েছেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ। যিনি বিশ্বব্যাপী ব্যাপকভাবে পরিচিত। ১৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক এই মার্কিন ধনকুবের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি।
বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস রয়েছেন তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে। অনলাইন ব্যবসার নতুন যুগের সূচনা করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ২০৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ল্যারি এলিসন ওরাকল করপোরেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা। যিনি তথ্যপ্রযুক্তির দুনিয়ায় এক অগ্রগণ্য নাম। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ২০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সাফল্যের চূড়ায় থাকা ইলন মাস্ক রয়েছেন বর্তমানে শীর্ষ ধনী হিসেবে। ইলন যেখানেই হাত দিচ্ছেন যেনো সোনা ফলছে। ডোমাল্ড ট্রাম্পের জয়েও ছিলো তার বড় ভূমিকা। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণকারী টেসলা থেকে শুরু করে মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স—সব জায়গাতেই তাঁর অগ্রণী ভূমিকা। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ২৭০ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা আর কঠোর পরিশ্রমই তাঁকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে।
সাফল্যের এই গল্পগুলো আমাদের দেখায়, বড় স্বপ্ন ও কঠোর পরিশ্রম জীবনের প্রতিটি প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে একদিন সফলতার শিখরে নিয়ে যেতে পারে। তাই হতাশ না হয়ে নিজের যোগ্যতার বলে এগিয়ে যান। এমন দিন হয়ত অপেক্ষা করছে আপনার জন্যও।