বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাহী কমিটি ২০০৮ সাল থেকে ২১ সদস্যের হলেও বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং ও সাব কমিটির মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এই কমিটিগুলোতে সাবেক ফুটবলার, কোচ এবং সংগঠকরা অন্তর্ভুক্ত হন। তবে আশ্চর্যের বিষয়, জাতীয় ফুটবলার ও অভিজ্ঞ কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক এতদিন বাফুফের কোনো আনুষ্ঠানিক কমিটিতে জায়গা পাননি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাফুফে নির্বাচনের প্রায় আড়াই মাস পর স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলো ঘোষণা করা হয়। গতকাল প্রকাশিত ডেভেলপমেন্ট কমিটিতে প্রথমবারের মতো মানিককে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “চার দশকের বেশি সময় ধরে ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এবারই প্রথম কোনো কমিটিতে কাজ করার সুযোগ পেলাম।”
১৯৭৯ সালে ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা মানিক নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি কোচিংয়ে নাম লেখান। দুই দশকের বেশি সময় ধরে তিনি সফলভাবে কোচিং করিয়েছেন। এর পাশাপাশি সংগঠক হিসেবে বিভিন্ন ভূমিকায় নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।
ডেভেলপমেন্ট কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান সহ-সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী। আট সদস্যের কমিটিতে মানিক ছাড়াও বাফুফের নির্বাহী কমিটির তিন সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ, ছাইদ হাসান কানন এবং মঞ্জুরুল করিম রয়েছেন। এছাড়া একজন ব্যবসায়ী, একজন নারী সংগঠক এবং বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালকও অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। তবে কো-চেয়ারম্যান পদ এখনো খালি।
অন্যদিকে, আজ প্রকাশিত মিডিয়া কমিটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই কমিটিতে সাবেক দুই ফুটবলার সাইফুর রহমান মনি ও জাহিদ হাসান এমিলি ছাড়া বাকিরা প্রায় অচেনা মুখ। মিডিয়া কমিটিতে মিডিয়া বা যোগাযোগ বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কাউকে রাখা হয়নি, যা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
ফুটবল ফেডারেশনের মিডিয়া কমিটি যে কোনো ফেডারেশনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাফুফের এই কমিটির গঠন নিয়ে শুরু থেকেই আলোচনা চলছে। এ নিয়ে ফুটবলপ্রেমীরা ভবিষ্যতে সঠিক পরিবর্তনের আশা করছেন।