বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদদের দেশত্যাগের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে, যা নতুন হলেও নয়। নব্বইয়ের দশকে সাঁতারু, অ্যাথলেট এবং অন্যান্য খেলোয়াড়রা খেলার সুযোগে বিদেশ গিয়ে আর ফেরেননি। এখন এটি পাল্টে গিয়ে উন্নত দেশে স্থায়ী হওয়ার এক নতুন ধারা তৈরি করেছে।
সম্প্রতি রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকীর মতো তারকা আরচ্যারদের বিদেশে চলে যাওয়ার ঘটনা ক্রীড়াবিদদের আর্থিক নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ফুটবল ও ক্রিকেটের বাইরে অধিকাংশ খেলায় জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ও নিয়মিত লীগ হয় না, যার ফলে এসব খেলার খেলোয়াড়দের আয়ের উৎস প্রায় নেই বললেই চলে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মতো সংস্থাগুলো বিপুল তহবিল থাকা সত্ত্বেও খেলোয়াড়দের জন্য মাসিক সম্মানী বা স্থায়ী কোনো আর্থিক সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ। শুটিং, দাবা ও আরচ্যারির মতো খেলায় আন্তর্জাতিক সাফল্য আসলেও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তা স্থায়ী হয় না।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, খেলোয়াড়দের আর্থিক সুরক্ষা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে এই প্রতিভাপাচার রোধ করা সম্ভব। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে অন্যান্য খেলাকে সেভাবে গুরুত্ব না দেওয়ায় এবং ক্রীড়াবিদদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় দেশের প্রতিভাবান খেলোয়াড়রা উন্নত জীবনের আশায় দেশত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন।