নতুন বছরে ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে ভ্যাট বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপিজি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, সাবান, টিস্যু, ফলমূল, বিমান টিকিটসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্য ও সেবা রয়েছে।
আইএমএফ বাংলাদেশকে কর-জিডিপি অনুপাত দশমিক ২ শতাংশ বাড়ানোর শর্ত দিয়েছে, যা প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার সমান। এনবিআর (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড) বলছে, এই অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের চাপ সামলাতে মাঝামাঝি সময়ে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে আরও চাপ সৃষ্টি হবে। ছোট ব্যবসার ওপরও এ সিদ্ধান্তের বড় প্রভাব পড়বে। টার্নওভার করের সীমা ৫০ লাখ থেকে কমিয়ে ৩০ লাখ টাকায় নামানো এবং ভ্যাট নিবন্ধনের সীমা ৩ কোটি থেকে ৫০ লাখ টাকায় নামানোর ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো আরও চাপে পড়বে।
মোবাইল রিচার্জ ও ইন্টারনেটের খরচ বাড়বে। ১০০ টাকা রিচার্জে গ্রাহক এখন থেকে ৬৭ টাকার সেবা পাবেন। এছাড়া হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবার খরচ ও বিমান টিকিটের দামও বাড়বে।
পলিসি এক্সচেঞ্জের নির্বাহী পরিচালক ড. মাশরুর রিয়াজ বলেন, “আইএমএফের শর্তে ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে ছোট ব্যবসাগুলো টিকে থাকতে পারবে না। সাধারণ মানুষের জন্য এটি বড় সংকট সৃষ্টি করবে। এ বিষয়ে আরও শক্তিশালী দরকষাকষি প্রয়োজন ছিল।”
এই ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে সামগ্রিকভাবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।