ঢাকা: বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের পরিমণ্ডলে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী একটি বিশেষ নাম। গত দুই দশকে তার নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো যেমন টেলিভিশন, থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার, পিঁপড়াবিদ্যা, ডুব, এবং শনিবার বিকেল শুধু দেশের দর্শকদের নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সাড়া জাগিয়েছে। প্রতিটি কাজেই তিনি তুলে ধরেছেন সমাজের বিভিন্ন জটিল দিক, গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও শৈল্পিক ব্যঞ্জনা। নিজের কাজের প্রতি এই সততা এবং বস্তুনিষ্ঠতার কারণে ফারুকী কেবল এক সফল নির্মাতা নন, বরং সমাজের একজন বিশ্লেষক হিসেবেও নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন।
সাম্প্রতিক এক ফেসবুক পোস্টে ফারুকী জানান, তিনি একটি বিশেষ দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন—দেশের জন্য উপদেষ্টা হিসেবে নতুন ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছেন। যদিও কী বিষয়ে এই দায়িত্ব, তা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি, তবে ধারণা করা যাচ্ছে, তিনি সামাজিক-সাংস্কৃতিক কিংবা চলচ্চিত্র বিষয়ক কোনো নীতিমালা তৈরিতে ভূমিকা রাখবেন। এই দায়িত্বে ফারুকীর সংশ্লিষ্টতার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই সিনেমাপ্রেমী এবং সমালোচকদের মাঝে শুরু হয়েছে আলোচনা। উপদেষ্টা হিসেবে ফারুকী কতটা প্রভাব ফেলতে পারবেন? তার সৃজনশীলতা ও চিন্তাশক্তি সরকারি নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে কতটা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে?
নির্মাতা হিসেবে ফারুকীর যে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রটি একটি নতুন অধ্যায় এবং এটি চ্যালেঞ্জপূর্ণও। গণমানুষের সংকট সমাধানে এবং দেশের উন্নয়নে তাঁর প্রভাব কেমন হবে, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে অনেকের। সিনেমার বাইরে গিয়ে প্রশাসনিক দায়িত্বে তিনি কি সেই একই সফলতার প্রমাণ রাখতে পারবেন?
সফল নির্মাতা হিসেবে তিনি যেমন খ্যাতি অর্জন করেছেন, তেমনি উপদেষ্টা হিসেবে দেশের বৃহত্তর কল্যাণে কতটা নম্বর পাবেন, তা সময়ই বলে দেবে। তবে ফারুকীর মতো একজন সৃষ্টিশীল মানুষকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেখা নিঃসন্দেহে দেশের জন্য ইতিবাচক দিক বলেই মনে করছেন অনেকে।